বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৬:২৬ অপরাহ্ন
ইন্দুরকানী বার্তা:
ভান্ডারিয়ায় একই পরিবারের চার সদস্যকে অচেতন করে এক স্কুল শির্ক্ষাথীকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার রাতে উপজেলার ৪নম্বর ইকড়ি ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, মুদি ব্যবসায়ী দিলীপ চন্দ্র রায় প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার রাতেও দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যায়। রাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যায়। রবিবার সকাল ১০টার সময়েও ঘরের লোকজনের কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে স্থানীয়রা গিয়ে দেখেন তাঁরা গভীরঘুমে অচেতন। ডাকা ডাকিতে কোন সাড়া না পেয়ে স্থানীয়রা একজন পল্লী চিকিসৎককে নিয়ে স্যালাইন পুশ করে তাতেও অবস্থার কোন উন্নতি হয় না।
পরে দুপুর আনুমানিক দের টার দিকে ভান্ডারিয়া হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়। প্রায় এক ঘন্টা পর দিলীপ চন্দ্র রায় (৬০) সুস্থ হলেও স্ত্রী ছবি রানী(৫০), বড় ছেলে তাপস চন্দ্র রায়(২০), ছোট ছেলে অপূর্ব চন্দ্র রায় (১৪) অচেতন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইয়াকুব হাওলাদারের ছেলে সাইফুল হাওলাদার (১৯) গত ৫/৬মাস ধরে
স্থানীয় ইকড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ঐ ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের স্বপরিবারে হত্যা করা হলেও ছাত্রীকে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেয় সাইফুল। তারই ধারাবাহিকতায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শনিবার রাতে পরিবারের সকল সদস্যকে খাবারের সাথে অতিরিক্ত ঘুমের ঔষধ খাইয়ে স্টীলের আলমিরা ভেঙ্গে ৭/৮ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা সহ প্রায় ১০লাখ টাকা লুট করে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে সাইফুল বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
এদিকে অসুস্থদের খোঁজ খবর নিতে ভান্ডারিয়া হাসপাতালে ছুটে যান উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টাণ, ঐক্য পরিষদ,পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা । এসময় তাঁরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে মুঠো ফোনে বিষয়টি অবহিত করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা রানী ধর জানান, পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সভায় রয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে তিনি জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলবেন।
ভান্ডারিয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামাল হোসেন মুফতী জানান,একই পরিবারের চার সদস্যকে দুপুর আনুমানিক আড়াইটার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক জন মোটামুটি সুস্থ্য বাকীদের চিকিৎসা চলছে তবে ভয়ের কিছু নাই আশা করি খুব দ্রুত সুস্থ্য হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই হাওলাদারের কাছে জানার চেষ্টা করলে ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
ভান্ডারিয়া থানার অফিসার্স ইন চার্জ মো. মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান,ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। স্কুল শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে তৎপরতা চলছে এবং মামলা প্রক্রীয়াধীন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাইফুলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসবোধের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা।